আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন। শুক্রবার (২ মে) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে এনসিপি ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, “আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও গণহত্যা চালিয়েছে। তারা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত। এমন একটি দল আর দেশের রাজনীতিতে থাকতে পারে না।” তিনি বলেন, “যারা আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ দুর্গ গড়ে তুলবে।”
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে সরকার আসবে, সেটিই প্রকৃত বৈধ সরকার। সুশীল তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণের আন্দোলনই এখন দেশের শাসনব্যবস্থার ভিত্তি।”
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “এই দলটি দেশের জন্য উপযুক্ত নয়। তাদের নাম নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন খাতা থেকে কেটে দিতে হবে।”
জাতীয় পার্টিকেও সমালোচনার কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টি ছিল আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারের সহযোগী। আজও তারা সেই রাজনীতিই প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। এদের দোসরদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্ট দেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আওয়ামী লীগ বা মুজিববাদী কোনো আদর্শে রাজনীতি চলতে পারে না। এনসিপি অতীতেও আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেছে, ভবিষ্যতেও জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করবে।”