আজ **৮ মে** পালিত হচ্ছে **বিশ্ব গাধা দিবস (World Donkey Day)**। এই দিনটির মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজে অবহেলিত, উপেক্ষিত অথচ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা প্রাণী **গাধার প্রতি সম্মান, সচেতনতা ও সহানুভূতির বার্তা** ছড়িয়ে দেওয়া।
বিশ্বব্যাপী এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে ২০০৭ সাল থেকে। গাধা সাধারণত শ্রমজীবী প্রাণী হিসেবে পরিচিত, বিশেষ করে গ্রামীণ ও পাহাড়ি অঞ্চলে পণ্য বহনে এর ব্যবহার অগ্রগণ্য। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রাণীটিকে অবহেলার দৃষ্টিতে দেখা হয়, কখনও ঠাট্টার পাত্র, কখনও কষ্টের প্রতীক হিসেবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাধা শুধু পরিবহন নয়, কৃষি, পশুপালন ও গ্রামীণ অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তবুও এখনও অনেক স্থানে গাধাকে অমানবিকভাবে ব্যবহার করা হয় এবং চিকিৎসার অপ্রতুলতার কারণে তারা নানা রোগে ভোগে।
### বাংলাদেশে গাধার অবস্থা
বাংলাদেশে গাধার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হলেও কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনও গাধা ব্যবহার হয় ইটভাটায়, কৃষি ও ক্ষুদ্র পরিবহন কাজে। কিন্তু আধুনিক যন্ত্রপাতির বিকাশ এবং সচেতনতার অভাবে গাধা পালনের হার কমে গেছে।
প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বলছে, গাধার সুরক্ষায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও সচেতনতা সৃষ্টি এবং চিকিৎসা সহায়তা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মিডিয়াতে গাধাকে শুধু হাস্যরসের বিষয় না বানিয়ে, এর বাস্তব অবদানকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
### গাধার প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো প্রয়োজন
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধু একটি দিবস পালন করলেই হবে না, বছরের প্রতিটি দিনই এই অবহেলিত প্রাণীর সুরক্ষা, মর্যাদা এবং সঠিক ব্যবহারের বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। গাধার মতো শ্রমজীবী প্রাণীর প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ মানবিক সমাজ গঠনেরই একটি দৃষ্টান্ত।